ঢাকা,শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

‘চকরিয়ায় জলমহাল থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি’, আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপের ডুলখালী খালের সরকারি জলমহালের ইজারাদারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা ফৌজদারি আবেদনটি আদালত আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার চকরিয়া থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে মামলাটি করেন- পশ্চিম চরণদ্বীপ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আহামদ হোছন। দণ্ডবিধি ৪৪৭/৩২৩/৩৮৫/৪২৭/৫০৬ (২) ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় আসামি করা হয়- চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ গ্রামের মৃত ফয়েজুর রহমানের ছেলে ছৈয়দুল হক, সোলতান আহমদের ছেলে নুরুল আমিন ও বাচা মিয়ার ছেলে সাবের ফকিরসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ মার্চ চকরিয়া উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সর্বোচ্চ নিলামে ডুলখালী খালটি ইজারা পান পশ্চিম চরণদ্বীপ মৎস্যজীবী সমিতি। ১৪২৯ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে ১৪৩১ বাংলা সনের ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত আগামী তিন বছরের জন্য মৎস্যজীবী সমিতি মহালটি ইজারা পান। উক্ত খালের ইজারার বিপরীতে সরকারি ভ্যাট, আয়কর, পে-অর্ডার যাবতীয় সরকারি খরচ প্রদান করে সমিতিটি।

পরে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব কর্তৃক চিরিংগা ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারের মাধ্যমে খালের পরিমাণ করে ইজারাদার সমিতির কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকে জলমহালটির জোরপূর্বক জবর দখল করার জন্য আসামিরা চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২৫ আগস্ট ১৫-২০ সন্ত্রাসী জলমহালে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় জাল ফেলে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছ, দুটি জাল লুট করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদি আহামদ হোছন বলেন, ‘আমরা মৎস্যজীবী সমিতি সর্বোচ্চ নিলামে জলমহালটি ইজারা পেয়েছি। ইতিমধ্যে সরকারি ভ্যাট, আয়কর, পে-অর্ডার যাবতীয় সরকারি খরচ প্রদান করে দখল বুঝে মৎস্য চাষ করছি। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসী জলমহাল থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। অনেকটা নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করেছি।’

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ‘জলমহালের বিষয়টি থানার একজন উপপরিদর্শক তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’

পাঠকের মতামত: